[ ]ডিটারজেন্ট বা সাবান কিভাবে ময়লা পরিষ্কার করে?-(আমাদের জীবনে রসায়ন: নবম-দশম শ্রেণি)
ডিটারজেন্ট বা সাবান কিভাবে ময়লা পরিষ্কার করে?
উত্তর: ডিটারজেন্ট বা সাবান হলো দীর্ঘ কার্বন শিকলযুক্ত অণু।
এসকল অণুতে দ্রবীভূত অবস্থায় ধনাত্মক ও ঋণাত্মক প্রান্ত সৃষ্টি হয়।
ধনাত্মক ও ঋণাত্মক প্রান্তকে যথাক্রমে হাইড্রোফোবিক( পানি বিকর্ষি) ও হাইড্রোফিলিক (পানি আকর্ষী ) অংশ বলে।
R-COONa⇌R-COO⁻ +Na⁺
এখানে,R=(C₁₇H₃₅)
ময়লা কাপড়কে যখন ডিটারজেন্ট বা সাবানসহ পানিতে ভেজানো হয়, তখন ডিটারজেন্ট বা সাবানের হাইড্রোফোবিক অংশ কাপড়ের ময়লার প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং দ্রবীভূত হয়।এই অবস্থায় কাপড়কে মোচড়ানো হলে বা ঘষা দিলে কাপড় হতে ময়লা সরে যায় এবং কাপড় পরিষ্কার হয়।
আরো পড়ুন: ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য
*ব্যাখ্যা-২ *
সাবান ডিটারজেন্ট অণুর বিশেষত্ব হল এর দু'টি প্রান্ত রয়েছে। একটি প্রান্ত হলো লবণ অংশ যা পোলার(-COO⁻Na⁺) হওয়ার দরুন পানিতে সহজেই দ্রবণীয়।
সাবান বা ডিটারজেন্টের অন্য প্রান্তটি (R-) অপোলার হাইড্রোকার্বন শিকল, যা পানিতে দ্রবণীয় নয় কিন্তু তেলজাতীয় পদার্থে দ্রবণীয়।
মনে রাখতে হবে যে, ময়লা হল তৈলাক্ত জাতীয় পদার্থ ,যেমন তেল বা গ্রিজ।
সাবান পানিতে যোগ করা হলে সাবান দ্রবন তৈরি হয়। এই সাবান দ্রবণের মধ্যে যখন ময়লা কাপড় প্রবেশ করানো হয়, তখন সাবান বা ডিটারজেন্ট অণুর হাইড্রোকার্বন বা অপোলার প্রান্ত তৈলাক্ত অংশে দ্রবীভূত হয়। ঘষামাজার ফলে কাপড়ের তৈলাক্ত স্তর ক্ষুদ্র গুটিকাতে পরিণত হয়। এসব গুটিকার মধ্যে ডিটারজেন্ট বা সাবানের অপোলার প্রান্ত বা হাইড্রোকার্বনের প্রান্ত এবং বাইরের পানিতে পোলার অংশ থাকে।
যেহেতু সাবান অণু দীর্ঘ শিকলযুক্ত, সেহেতু এই শিকল প্রতিটি ময়লার গুটিকাকে ঘিরে পানিতে তেলের একটি সুস্থিত অবদ্রবণ তৈরি করে থাকে।
নাড়লে এই অবদ্রবণ বাতাসের সাথে ফেনা তৈরি করে। এখন ময়লা দ্রব্যটিকে ঝাঁকানো হলে অবদ্রবিত তেল বিন্দু তথা ময়লা ঐ অপরিষ্কার কাপড় বা দ্রব্য থেকে পৃথক হয়ে যায় এবং পানিতে ফেনার মধ্যে ভাসতে থাকে। তখন পানিতে ধুয়ে ফেললে কাপড় বা অপরিস্কার দ্রব্য থেকে ময়লা দূর হয়।
আরো পড়ুন:
উত্তর: ডিটারজেন্ট বা সাবান হলো দীর্ঘ কার্বন শিকলযুক্ত অণু।
এসকল অণুতে দ্রবীভূত অবস্থায় ধনাত্মক ও ঋণাত্মক প্রান্ত সৃষ্টি হয়।
ধনাত্মক ও ঋণাত্মক প্রান্তকে যথাক্রমে হাইড্রোফোবিক( পানি বিকর্ষি) ও হাইড্রোফিলিক (পানি আকর্ষী ) অংশ বলে।
R-COONa⇌R-COO⁻ +Na⁺
এখানে,R=(C₁₇H₃₅)
ময়লা কাপড়কে যখন ডিটারজেন্ট বা সাবানসহ পানিতে ভেজানো হয়, তখন ডিটারজেন্ট বা সাবানের হাইড্রোফোবিক অংশ কাপড়ের ময়লার প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং দ্রবীভূত হয়।এই অবস্থায় কাপড়কে মোচড়ানো হলে বা ঘষা দিলে কাপড় হতে ময়লা সরে যায় এবং কাপড় পরিষ্কার হয়।
আরো পড়ুন: ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য
*ব্যাখ্যা-২ *
সাবান ডিটারজেন্ট অণুর বিশেষত্ব হল এর দু'টি প্রান্ত রয়েছে। একটি প্রান্ত হলো লবণ অংশ যা পোলার(-COO⁻Na⁺) হওয়ার দরুন পানিতে সহজেই দ্রবণীয়।
সাবান বা ডিটারজেন্টের অন্য প্রান্তটি (R-) অপোলার হাইড্রোকার্বন শিকল, যা পানিতে দ্রবণীয় নয় কিন্তু তেলজাতীয় পদার্থে দ্রবণীয়।
মনে রাখতে হবে যে, ময়লা হল তৈলাক্ত জাতীয় পদার্থ ,যেমন তেল বা গ্রিজ।
সাবান পানিতে যোগ করা হলে সাবান দ্রবন তৈরি হয়। এই সাবান দ্রবণের মধ্যে যখন ময়লা কাপড় প্রবেশ করানো হয়, তখন সাবান বা ডিটারজেন্ট অণুর হাইড্রোকার্বন বা অপোলার প্রান্ত তৈলাক্ত অংশে দ্রবীভূত হয়। ঘষামাজার ফলে কাপড়ের তৈলাক্ত স্তর ক্ষুদ্র গুটিকাতে পরিণত হয়। এসব গুটিকার মধ্যে ডিটারজেন্ট বা সাবানের অপোলার প্রান্ত বা হাইড্রোকার্বনের প্রান্ত এবং বাইরের পানিতে পোলার অংশ থাকে।
যেহেতু সাবান অণু দীর্ঘ শিকলযুক্ত, সেহেতু এই শিকল প্রতিটি ময়লার গুটিকাকে ঘিরে পানিতে তেলের একটি সুস্থিত অবদ্রবণ তৈরি করে থাকে।
নাড়লে এই অবদ্রবণ বাতাসের সাথে ফেনা তৈরি করে। এখন ময়লা দ্রব্যটিকে ঝাঁকানো হলে অবদ্রবিত তেল বিন্দু তথা ময়লা ঐ অপরিষ্কার কাপড় বা দ্রব্য থেকে পৃথক হয়ে যায় এবং পানিতে ফেনার মধ্যে ভাসতে থাকে। তখন পানিতে ধুয়ে ফেললে কাপড় বা অপরিস্কার দ্রব্য থেকে ময়লা দূর হয়।
আরো পড়ুন:
Comments
Post a Comment