মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় করণীয় কাজের তালিকা
মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় করণীয় কাজের তালিকা নিচে দেয়া হলো:
১. নিয়মিত ব্যায়াম করা
*দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি বা হালকা দৌড়ানো
*যোগব্যায়াম, প্রানায়াম, বা সাঁতার কাটা
*ব্যায়াম মস্তিষ্কে সেরোটোনিন এবং এন্ডোরফিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা মন ভালো রাখতে সহায়ক
২. সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা
*বেশি তাজা ফল, সবজি এবং বাদাম খাওয়া
*প্রচুর জল পান করা
*ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত চিনি ও প্রসেসড খাবার এড়ানো
ও*মেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (যেমন মাছ, আখরোট) গ্রহণ করা
*পর্যাপ্ত ভিটামিন-বি এবং ম্যাগনেসিয়াম নিশ্চিত করা
৩. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা
*প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও উঠা
*ঘুমের আগে মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে দূরে থাকা
*ঘুমের পরিবেশ অন্ধকার, শান্ত ও আরামদায়ক রাখা
*ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানো খাদ্য বা পানীয় যেমন ক্যাফেইন, অ্যালকোহল কম খাওয়া
৪. মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা
*পরিবারের সদস্য, বন্ধুদের সাথে নিয়মিত কথা বলা বা দেখা
*সমস্যাগুলো শেয়ার করা এবং সমর্থন নেওয়া
*সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়া (যেমন ক্লাব, কমিউনিটি গ্রুপ)
৫. স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
*নিয়মিত ধ্যান বা মেডিটেশন অনুশীলন
*শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম যেমন গভীর শ্বাস নেওয়া
*স্বাভাবিক রিলাক্সেশন পদ্ধতি যেমন গান শোনা, বই পড়া
*নিজেকে রিলাক্স করার জন্য ছোট ছোট বিরতি নেওয়া
৬. আত্মসমালোচনা থেকে বিরত থাকা
*নিজের ভুল বুঝে নিয়ে তা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করা
*ইতিবাচক আত্মসংলাপ রাখা (self-talk)
*নিজের ভালো দিকগুলো মনে রাখা এবং প্রশংসা করা
৭. সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা
পেইন্টিং, আঁকা, লেখা, গান গাওয়া, বাদ্যযন্ত্র শেখা ইত্যাদি
নতুন কিছু শিখে মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করা
নিজের মনের ভাব প্রকাশ করার সুযোগ পাওয়া
৮. পেশাদার সাহায্য নেওয়া
প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, সাইকোলজিস্ট বা কাউন্সেলরের সঙ্গে দেখা করা
মানসিক অসুস্থতা গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা নেওয়া
থেরাপি, মেডিকেশন বা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা
৯. সময় ব্যবস্থাপনা করা
কাজের একটি তালিকা বা শিডিউল তৈরি করা
অতিরিক্ত কাজ এড়িয়ে চলা
পর্যাপ্ত বিশ্রামের সময় রাখা
কাজে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা
১০. নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকা
নিজেকে ইতিবাচক এবং আশাবাদী ভাবতে শেখানো
মাইন্ডফুলনেস বা সচেতনতা অনুশীলন
নেতিবাচক পরিবেশ বা মানুষ থেকে দূরে থাকা
Comments
Post a Comment